প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা, ঢাকা: বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় থাকা এ্যাস্কয়ার নীট কম্পোজিটের প্রথমদিন শেষে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বিড করেছে। এর মধ্যে প্রতিটি শেয়ার সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা দিয়ে একজন বিডার ৪ লাখ ৭ হাজার ৬০০টি শেয়ার কেনার জন্য বিড করেছে। শুরুতে একজন যোগ্য বিনিয়োগকারী প্রতিটি ৪৫ টাকা দরে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬০০টি শেয়ার কেনার জন্য বিডিং করেছেন। যার মোট মূল্য ১ কোটি ৮৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।
একজন বিডার সর্বোচ্চ ১ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার কেনার জন্য বিড করতে পারবেন। বিডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির ৯৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনার জন্য শেয়ার দর প্রস্তাব করতে পারবেন।
কোম্পানিটির বিডিং শুরু হয়েছে সোমবার (৯ জুলাই) বিকাল ৫টায়। যা চলবে ১২ জুলাই বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে ইলিজিবল ইনভেস্টর অর্থাৎ যোগ্য বিনিয়োগকারী অংশ নেবে।
বিডিংয়ে অংশ নেওয়া অন্যান্য বিডারদের মধ্যে ৪ জন ৪৫ টাকা করে দর প্রস্তাব করেছেন। এছাড়া ১জন ৪৩ টাকা, ১জন ৩৫ টাকা, ২জন ৩২ টাকা, ১জন ২৩ টাকা ও ৪জন ২২ টাকা করে দর প্রস্তাব করেছেন। এক্ষেত্রে ১৪ জন বিডার মোট ৮২ লাখ ৬২ হাজার ৯০০টি শেয়ার ১৮ কোটি ১২ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টাকায় কেনার জন্য দর প্রস্তাব করেছেন।
এর আগে কোম্পানিটিকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে শেয়ার ছেড়ে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করার জন্য বিডিংয়ের অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আর এ টাকা থেকে কোম্পানিটি ১০০ কোটি ৪২ লাখ টাকা দিয়ে ভবন নির্মাণ, ২১ কোটি ২৩ লাখ টাকা দিয়ে ইয়ার্ন ডাইং মেশিন ক্রয়, ২১ কোটি ৯১ লাখ টাকা দিয়ে ওয়াশিং প্লান্ট মেশিন ক্রয় ও বাকি ৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আইপিও বাবদ খরচে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিডে। আর রেজিস্ট্রার টু দ্য ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
ময়মনসিংহের ভালুকায় নতুন গার্মেন্টস ইউনিট নির্মাণের জন্য কোম্পানিটি আইপিও এর মাধ্যমে টাকা তুলছে। এ প্রজেক্টটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৬ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭৮৮ টাকা। এর মধ্যে আইপিও’র পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে ৩৪৬ কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং কোম্পানির নিজস্ব উৎস থেকে ৮৬ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হবে।
২০১৭-২০১৮ হিসাব বছরের ৯ মাসে (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ২৯ কোটি ১৩ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৯১ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে প্রকৃত মুনাফা ছিল ২৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ২.৪০ টাকা। ইপিএস বেড়েছে ২১ শতাংশ।
এ সময়ে কোম্পানির মোট ৩৭৯ কোটি ৬২ লাখ ৬২ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। এর আগের বছর একই সময়ে ৩০৯ কোটি ৯২ লাখ ৪ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছিল।
এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) ৪৮.৭৪ টাকা সম্পদ মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী। আর সম্পদ মূল্যায়ন ছাড়া এনএভি হয়েছে ২৮.৮৭ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩.৫৯ টাকা।
Source: Biniyog Barta